সুনামগঞ্জ মৎস্য বিভাগে দুই তৃতীয়াংশ পদই শূন্য
বলা হয়, মৎস্য পাথর ধান – সুনামগঞ্জের প্রাণ। হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সরকারি দপ্তর জেলা মৎস্য বিভাগ। সেই দপ্তরেই জনবল সংকট পৌঁছেছে চরমে। মোট পদের দুই তৃতীয়াংশই শূন্য রয়েছে। এ অবস্থায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলা মৎস্য বিভাগে মঞ্জুরীকৃত মোট ৯৬টি পদের মধ্যে ৬৬টি পদই শূন্য। কর্মরত আছেন মাত্র ৩০ জন। এর মধ্যে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরে মঞ্জুরীকৃত মোট ১২টি পদের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন ৫ জন। শূন্য রয়েছে সহকারী পরিচালক, উপ-সহকারী পরিচালক, মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা, হিসাব রক্ষক ও অফিস সহায়ক পদ।
অন্যদিকে, জেলার ১১টি উপজেলার চিত্র একই। এখানে মঞ্জুরিকৃত ৬৬ পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১৮ জন। শূন্য পদ রয়েছে ৪৮টি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, জেলার সব উপজেলায়ই মৎস্য সম্প্রসারণ ও মাননিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা পদটি শূন্য। এছাড়া সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা পদটি শাল্লায় পূর্ণ থাকলেও বাকি উপজেলাগুলোতে রয়েছে শূন্য। ক্ষেত্র সহকারী পদে বিশ্বম্ভরপুর, জগন্নাথপুর, তাহিরপুর ও শান্তিগঞ্জে (দ .সুনামগঞ্জ) রয়েছে জনবল সংকট। অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে সদর উপজেলা ছাড়া জেলার সব উপজেলাতে রয়েছে শূন্য পদ। অফিস সহায়ক পদে সুনামগঞ্জ সদর, দিরাই, ছাতক উপজেলায় জনবল থাকলেও বাকি উপজেলাগুলোতে এই পদে জনবল সংকট রয়েছে।
তাছাড়া, কার্প হ্যাচারি কমপ্লেক্স শান্তিগঞ্জে মঞ্জুরিকৃত ১৮টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৭ জন। এখানে ১১টি পদই খালি রয়েছে। এর মধ্যে ফিশারম্যান কাম গার্ড ৬টি পদের মধ্যে সবগুলোই শূন্য। পাশাপাশি মৎস্য কর্মকর্তা পদ খালি রয়েছে। অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক ২টি পদের মধ্যে খালি আছে ১টি। গাড়ি চালকের ২টি পদের মধ্যে ১টি এবং পাম্প অপারেটর কাম ইলেট্রিশিয়ান ১টি পদসহ পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পদও খালি রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে এতো বেশি জনবল সংকট হতাশাজনক। কিভাবে এতো জনবল সংকটে কার্যক্রম চলছে তা আর বলার বাকি রাখে না। দেশীয় মাছ রক্ষায় সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও মৎস্য বিভাগে জনবল সংকটের কারণে এর পুরোপুরি সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলা মৎস্য অফিসার সুনীল মন্ডল জানান, আমাদের জনবলের ব্যাপক সংকট রয়েছে। এতো সংকটের মধ্যে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে হোক। জনবল সংকটের বিষয়ে আমাদের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছেন। হয়তো খুব শীগগির সমস্যার সমাধান হবে।
- পীর জুবায়ের, সহকারী বার্তা সম্পাদক, সুনামগঞ্জ মিরর
সুনামগঞ্জমিরর/পিজে/টিএম