২২ টি মন্ডপে দুর্গোৎসব হবে শান্তিগঞ্জে

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় এখন শারদীয় দুর্গাপূজার হাওয়া বইছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে উপজেলার ২২ টি মন্ডপে শুরু হওয়া প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় সম্পন্ন। শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী ও আয়োজকেরা।
উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, শান্তিগঞ্জের বেশির ভাগ মন্দিরগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পন্ন। বাকি শুধু রংতুলির কাজ। এবছর ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। চলবে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
এবছর দেবী দুর্গা ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে পৃথিবীতে আসবেন। পূজার সকল আনুষ্ঠিকতা শেষে দোলায় চড়ে কৈলাশে ফিরবেন। ঢাকের বাজনা, উলুধ্বনি আর আরতীতে মুখরিত হয়ে উঠবে শান্তিগঞ্জের পাড়া-মহল্লা থেকে গ্রাম।
ইতোমধ্যে মন্দিরগুলোতে খঁড় ও মাটি দিয়ে পরম যত্নে গড়ে উঠছে প্রতিমা। এখন চলছে দোঁ-আঁশ মাটির কাজ। আর এসব প্রতিমা তৈরিতে দম ফেলার ফুসরত নেই প্রতিমা শিল্পীদের। এরপর রং তুলির টানে প্রতিমাগুলো ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন প্রতিমা শিল্পীরা। দেবী মা দুর্গা তার সাথে বিদ্যার দেবী স্বরসতী, ধন সম্পদের দেবী লক্ষ্মী এবং তার সাথে দেবতা কার্তিক ও গনেশসহ নানা দেব-দেবীর প্রতিমার রূপকে ফুটিয়ে তুলছেন নিপুণ হাতের ছোঁয়ায়।
এ বছর একেকজন প্রতিমা শিল্পীরা ৩ থেকে ৪টি করে প্রতিমা তৈরি করেছেন। তবে করোনাকালীন সময়ে চাহিদার তুলায় মজুরি কম পেলেও উৎসাহী হয়ে এ কাজ করছেন তারা।
প্রতিমা শিল্পী নিরধ আচার্য জানান, পূজা শুরুর দিন পর্যন্ত রং এর কাজ করতে হবে তাদের। এবার তিনি ৪টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরি করেছেন। এখন প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হলেও বাকি রঙতুলির কাজ। প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর জন্য ২২ হাজার টাকা নিচ্ছেন তিনি।
নগর পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিতাই দাস বলেন, দুর্গোৎসব উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। প্রতিমা তৈরির কাজ এখন শেষের দিকে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জ্যোতি ভূষণ তালুকদার ঝন্টু বলেন, এবার আড়ম্বরপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব হবে।
উপজেলায় ২২ টি পূজা মন্ডবে পূজা উদযাপন করা হবে। প্রতিটি মন্দিরে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজায় যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসন সর্বদা সজাগ থাকবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালন করতে পারে সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জমিরর/এসএ