সিলেটে নদ-নদের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি

টানা বৃষ্টি সঙ্গে পাহাড়ি ঢল থাকায় সিলেটের নদ-নদীর পানি ক্রমেই বাড়ছে। সবক’টি নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টির ফলে সিলেটের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে প্লাবনের শঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলে পানি জমতে শুরু করেছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, গত তিনদিন ধরেই সুরমা, কুশিয়ারাসহ সিলেটের বিভিন্ন নদীর পানি অব্যাহতভাবেই বাড়ছে। এ ছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাউবোর তথ্য বলছে, রোববার সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে ছিল ৯ দশমিক ৮৮ মিটার। সোমবার সকাল ৬টায় পানিসীমা দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২০ মিটারে। পরে সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ২৩ মিটার ও দুপুর ১২টায় ১০ দশমিক ৩৯ মিটারে পানিসীমা দাঁড়ায়। অর্থাৎ ১৮ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ০.৫১ সেন্টিমিটার। এ নদীর পানি রোববার সন্ধ্যায় জেলার কানাইঘাট পয়েন্টে ছিল ১২ দশমিক ৪৬ মিটার; যা সোমবার দুপুরে হয় ১৯ দশমিক ৪৮ মিটার।
কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে রোববার দুপুরে ছিল ১৪ দশমিক ৪২ মিটার। সোমবার দুপুরে হয়েছে ১৪ দশমিক ৬৫ মিটার। এ নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ১১ দশমিক ১৪ মিটার। সোমবার দুপুর ১২টায় দাঁড়ায় ১২ দশমিক ২৮ মিটারে।
শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বেড়েছে। এখানে রোববার সন্ধ্যায় পানিসীমা ছিল ৭ দশমিক ৬৮ মিটার; সোমবার দুপুরে হয়েছে ৭ দশমিক ৭০ মিটার। কুশিয়ারার পানি বাড়ছে ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টেও। রোববার এখানে পানিসীমা ছিল ৯ দশমিক ৪৯ মিটার, রোববার বিকেলে পানি বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৭৮ মিটার।
কানাইঘাটের লোভা নদীর পানিও বাড়ছে। রোববার এ নদীর পানিসীমা ছিল ১২ দশমিক ৬৩ মিটার। সোমবার দুপুরে হয়েছে ১৪ দশমিক ১৫ মিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিলেট’র নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি বৃষ্টি অব্যাহত থাকে আবারও বন্যা হবে। ফলে বাড়বে দুর্ভোগও।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, চলতি মাসেই সিলেট অঞ্চল বন্যার কবলে পড়তে পারে। তবে এ বন্যার দীর্ঘায়িত হবে না বলে আভাস দিয়েছে তারা। গত মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ। প্রায় এক সপ্তাহ স্থায়ী ওই বন্যায় শত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয় এ দুই জেলায়। সে বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই আরেক বন্যার শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সুনামগঞ্জমিরর/এসএ