দেশ এখন মুক্তিযুদ্ধের ধারায় নেই: সেলিম

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, দেশ এখন মুক্তিযুদ্ধের ধারায় নেই। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন দেশ চলবে সমাজতন্ত্রের ধারায়। খন্দকার মোশতাক মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতি নষ্ট করে দিয়ে গেছেন। জিয়াউর রহমানের সময় এ পথ একেবারে বন্ধ করে যায়। মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, এটা বিএনপি তো পারবেই না, আওয়ামী লীগ দিয়েও হবে না। এজন্য মানুষকে জাগাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশকে ফেরাতে না পারলে দেশ এগোবে না।
সোমবার (৬ জুন) সুনামগঞ্জ সদরে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
পৌর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সকালে এ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা কমিউনিস্ট পার্টি। এতে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার লোকজন অংশ নেন।
ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, ‘দেশে এখন বাজার অর্থনীতি চলছে। আটার দাম, চালের দাম, সয়াবিনের দাম বাড়ছে। মানুষের প্রকৃত আয় কমছে। মানুষ দরিদ্র হচ্ছে। সবই নাকি বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। বাজারই যদি সব নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে সরকার থেকে কী লাভ? সরকারে চলে গেলেই হয়।’
আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল একদলীয়। ১৫৪ জন এমপি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সরকার গঠন করতে দরকার ১৫১ জন এমপি। সে অনুযায়ী আর ভোট না হলেও সরকার গঠন করতে পারতো আওয়ামী লীগ। তাহলে এটা হলো বিনাভোটের সরকার। এখন দলীয় কর্মীদের ওপর আর আওয়ামী লীগের ভরসা নেই। মধ্যরাতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ভোট হয়ে যায়।’
সুনামগঞ্জের প্রবীণ রাজনীতিক রমেন্দ্র কুমার দের সভাপতিত্বে ও জেলা সিপিবির সভাপতি এনাম আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রবীণ শিক্ষক ধূর্জটি কুমার বসু, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে, জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি শীলা রায়, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রবিউল লেইস, জেলা খেলাঘর আসরের সভাপতি বিজন সেন রায়, সুনামগঞ্জ মুক্তিসংগ্রাম স্মৃতি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমদ, জেলা গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির আহবায়ক রুহুল তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লিপসন আহমেদ/সুনামগঞ্জমিরর/এসএ