জমজমাট গরুর হাট, দাম নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ক্রেতা বিক্রেতার

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে সুনামগঞ্জের পশুর হাট।
শহরের সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতিবারের মতো এবারও বসেছে প্রধান অস্থায়ী হাট।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাটে প্রচুর পশুর আমদানি থাকলেও দাম নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চলছেই। ক্রেতাদের অভিযোগ বন্যার অজুহাত দেখিয়ে গরুর দাম অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে। গত বছর যে গরু ছিলো সত্তর হাজার টাকা, এবার এক লাখেও সে গরু মিলছে না।

ক্রেতাদের এমন সুর থাকলেও বিক্রেতাদের কথা ভিন্ন। তাঁরা বলছেন, এবছর তাঁরা পাইকারিতেই বেশি দামে গরু কিনেছেন। তাই বাধ্য হয়ে একটু বেশি দাম চাইতে হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতারা যে দাম বলছেন, তাতে মনে হচ্ছে এবছর অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে। নারায়নতলা থেকে জয়নাল ব্যাপারী ছয়টি বড় গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। সারাদিনে একটা গরুও বিক্রি করতে পারেননি। তিনি বলছেন, “মাইনসে যে দাম কয়, হেই দামে বেচার চাইতে ঘরো নিয়া যাওয়া ভালা।” প্রায় সব ব্যাপারীর কথা এরকম।
ব্যাপারীরা দাম না ছাড়ায় ক্রেতারা ঝুঁকছেন গৃহস্থের গরুর দিকে। গৃহস্থের গরুগুলো তুলনামূলকভাবে ছোট হলেও সেদিকে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। শহরের আরপিননগর থেকে আসা ক্রেতা মনসুর আলী সুনামগঞ্জ মিররকে বলেন, “ব্যাপারীরা দাম বেশি বলে। তাদের একটা লাভ লোকসানের বিষয় থাকে। কিন্তু গৃহস্থের গরুর লাভ ক্ষতির বিষয় নেই, জিনিসটাও ভালো। তাই গৃহস্থের গরু কিনবো।”

বৃষ্টিতে গরুর হাটে কাদা হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়কেই।এ নিয়ে ক্ষোভও রয়েছে তাদের। হাসিলের হার নিয়েও রয়েছে অসন্তুষ্টি। কেউ কেউ দাবি তুলেছেন হাসিলের হার কমানোর। গরুর পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে ছাগলের আমদানি আছে হাটে। হাট সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন,শহরের মানুষজনের গরু রাখতে অনেক সমস্যা হয়। তাই এখন পশুর বেচাকেনা কম।

ঈদের আগের দিন প্রচুর বেচাকেনা হবে। ঈদ যতো ঘনিয়ে আসবে, গরুর বাজার ততো জমজমাট হবে। তাই আপাতত ঈদের আগের দিনের দিকেই তাকিয়ে ক্রেতা বিক্রেতা সবাই
মুয়াজ্জাজুর রহমান মুয়াজ
সুনামগঞ্জমিরর/এসএ