সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট, সৌদি নারীর কারাদণ্ড

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেয়ার কারণে সৌদি আরবের এক নারীকে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কারাদণ্ড পাওয়া নারীর নাম নুরাহ আল-কাহতানি। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আপিলে তার এ সাজা হয়েছে।
ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ (ডিএডব্লিউএন) নামের অধিকার গোষ্ঠীর ভাষ্যমতে, মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে সৌদি আরবে এ ধরনের দ্বিতীয় ঘটনা ঘটল। ডিএডব্লিউএন বলছে, সৌদির সামাজিক কাঠামো ভাঙতে ইন্টারনেট ব্যবহার এবং সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে জনশৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে নুরাহকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
ডিএডব্লিউএন ওয়াশিংটনভিত্তিক অধিকার গোষ্ঠী। গোষ্ঠীটির প্রতিষ্ঠাতা সৌদির প্রয়াত সাংবাদিক জামাল খাসোগি। তিনি ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে খুন হন। সৌদির বর্তমান শাসকদের কড়া সমালোচক ছিলেন খাসোগি।
নুরাহকে সৌদির কাউন্টার টেররিজম ও অ্যান্টিসাইবার ক্রাইম আইনের অধীন দোষী সাব্যস্ত করা হয় বলে জানায় ডিএডব্লিউএন।
নুরাহর কারাদণ্ডের বিষয়ে সৌদির আদালতের নথির একটি অনুলিপি ‘শেয়ার’ করেছে ডিএডব্লিউএন। সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নুরাহ সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। তাকে ২০২১ সালের জুলাইয়ে গ্রেফতার করা হয়। তিনি দেশটির বিশেষায়িত ফৌজদারি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন। চলতি মাসে আপিলে তার গুরুদণ্ড হয়।
ডিএডব্লিউএনের উপসাগরীয় অঞ্চলের গবেষণা পরিচালক আবদুল্লাহ আলাউদ বলেন, চলতি মাসেই সৌদিতে সালমা আল-শেহাব নামের এক নারীর ৩৪ বছরের কারাদণ্ড হয়। এ ঘটনার কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে নুরাহর ৪৫ বছরের কারাদণ্ড হলো।
সুনামগঞ্জমিরর/এসএ