বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে লাগবে ‘সাড়ে ৩ বছর’

সম্প্রতি সিলেট ও সুনামগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে গেছে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা। বন্যায় বিধ্বস্ত হয়েছে এই দুই জেলার প্রায় ৮০ ভাগ রাস্তা। বন্যার সময় কোনো কোনো সড়কের উপর ছিল কোমরপানি। পানি নামার পর সড়কগুলোতে ভেসে ওঠে বন্যার ক্ষত। বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দে ভরা সড়কে এখন চলাচল করতে মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি, নিয়মিত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
তবে ভাঙাচোরা এসব সড়ক সংস্কারে এখনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আগামী বছরের (২০২৩ সালের) শুরুতে সংস্কার কাজ শুরু হতে পারে। প্রাথমিকভাবে কাজের মেয়াদ ধরা হয়েছে সাড়ে তিন বছর।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, সাড়ে তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে সিলেট বিভাগের ৪টিসহ ৯ জেলার ৩ হাজার ৩৮৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
জানা গেছে, এবার বন্যায় সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোতে সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন জেলার এলজিইডি কার্যালয় থেকে সদর দপ্তরে পাঠানো প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রাথমিক প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে সংস্থাটির রক্ষণাবেক্ষণ শাখা। প্রকল্পে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনা, জামালপুর ও কুড়িগ্রাম জেলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
এলজিইডি সূত্র জানায়, প্রতিবছর এলজিইডির বাজেটে সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ নির্দিষ্ট টাকা বরাদ্দ থাকে। অনেক সময় বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে একাধিক জেলার সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের বরাদ্দ থেকে সংস্কার করা সম্ভব হয় না। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের জন্য আলাদা প্রকল্প নেওয়া হয়। জেলার তথ্যের ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মেরামত ও পুনর্নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সরকারের অনুমোদন পেলে এটি বাস্তবায়নের কাজ করবে এলজিইডি।
চলতি বছর স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয় সিলেট বিভাগে। এলজিইডির তথ্য অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও কালভার্টের বড় অংশই বিভাগের চার জেলায়। এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেড় হাজার কিলোমিটারের বেশি সড়ক। এর মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি- প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদনের।
সুনামগঞ্জমিরর/এসএ